বেলের মধ্যে যেসব উপকারিতা আছে
বেলের মধ্যে যেসব উপকারিতা আছে
বেল আমাদের দেশের অতি জনপ্রিয় একটি ফল। বিশেষ করে বেলের শরবত খেলে পাওয়া যায় প্রশান্তি। এটি খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। শরবত ছাড়াও পাকা বেল এমনি খেতেও ভীষণ মজা। আর কাঁচা বেল বিভিন্ন পদ্ধতিতে খেলে মিলবে স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে অনেকেই আছেন এর ফলটি খেতে পছন্দ করেন না। বেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে এ ফলটি খেতে উৎসাহী হবেন সবাই।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বেলের উপকারিতা। বেলে রয়েছে হাজারও পুষ্টিগুণ। সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের বেল খাওয়া একান্ত জরুরি। বেলে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।’
উপকারিতা
বেল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বেলে আছে ফেনোলিক কম্পাউন্ড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।এটি শরীরের ফ্রি-রেডিকেল দূর করে এবং বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।
কাঁচা বেল সেদ্ধ করে শরবত বানিয়ে বা পাকা বেলের শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়। বেলের ফাইবার খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। এতে হজমশক্তির উন্নতি হয়।
পাকা বেলে রয়েছে আলসার উপশমকারী উপাদান। যাদের এ সমস্যা আছে তারা বেলের শরবত খেলে উপকৃত হবেন।
যাদের পাইলস, এনাল ফিস্টুলা ইত্যাদি মলদ্বারের রোগ আছে তাদের জন্য বেল ভীষণ উপকারী।
পাকা বেলে রয়েছে মেথানল নামক উপাদান যা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বেলের শরবত খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া পাকা বেল রক্ত শুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
বেল ভিটামিন সির একটি উৎস। তাই এটি খেলে ভিটামিন সির অভাবজনিত রোগ যেমন স্কার্ভি প্রতিহত হয়।
বেলে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি যক্ষা নিরাময়ে ভূমিকা রাখে।
ক্লান্ত শরীরে কর্মশক্তি ফিরে পেতে পাকা বেলের শরবত কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বেল খেলে। কারণ এতে আছে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান।
বেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আন্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন নামক উপাদান বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। আর এই ভিটামিন চোখের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
লিভার ভালো রাখতে কাজ করে বেলে থাকা থিয়ামিন ও রিবোফ্লাভিন।
কাঁচা বেল রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে পানিতে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়ার সমস্যা দূর হতে পারে। তবে ডায়রিয়ার সমস্যায় পাকা বেল খাওয়া উচিত নয়।
কাঁচা বেল কেটে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে আমাশয়ের মতো সমস্যা উপশম হয়।
ম্যালেরিয়া হলে কাঁচা বেলের শরবত বা ভিজিয়ে রাখা পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
কাঁচা ও পাকা বেল পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখে।
সতর্কতা
বেল শরীরের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। বেল খাওয়ার পরিমাণ অতিরিক্ত হলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।